প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা
প্রত্যেক বিষয়েরই প্রস্তুতিপর্ব থাকে—সে প্রবাসী বা সন্দেশের মতো একটি পত্রিকা হোক বা কোনো অনাথ আশ্রম, রামকৃষ্ণ মঠ হোক বা ভারতের স্বাধীনতা, মাইহার ব্যান্ড বা বহুরূপী নাট্যদল, গান-শেখা বা গান-লেখা, অভয়ারণ্য বা সিনেমা তৈরি, পুলিশি ব্যবস্থা বা শখের গোয়েন্দাগিরির, রবি ঠাকুরের ছবি আঁকা বা লেখালিখি, নতুন প্রত্নস্থল খনন বা পুরোনো মন্দির সংরক্ষণ এমনই প্রস্তুতিপর্বের চিত্র উঠে এলো লেখাতে ছবিতে। ...
এই বাংলায় আর যা কিছুরই অভাব থাকুক না কেন সাহিত্যচর্চার কোনো অভাব নেই৷ তাই নেই প্রকাশনার কোনো কমতি বা পত্রিকা-প্রকাশের উৎসাহের কোনো খামতি৷ সে-কারণেই সাহিত্যচর্চার অনুকূল জলবায়ুতে নতুন একটা প্রকাশনা বা পত্রিকা জন্ম নিলে কেউ অবাক হন না—কিন্তু চিন্তাশীল অনেকেই ঈষৎ ভ্রূ কোঁচকান—আবার, কেন! সব সময় সদুত্তর যে মেলে না, তা বলাই বাহুল্য৷ কেউ তো আর ইশতেহার ছাপিয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করে না—কেন এই অকাল-আগমন৷ কিংবা বজ্র-গম্ভীর স্বরে আওড়ায় না—‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত...’৷ কারণ দেশোদ্ধার ধর্মযুদ্ধ বিপ্লব বিদ্রোহ সমাজ-সংস্কার---এসব সাধারণভাবে অনেক পরের কথা—মূলত অলাভজনক এই পত্রিকাগুলির সঙ্গে আসলে যা জড়িয়ে থাকে তা হল বিশুদ্ধ আবেগ৷ যতক্ষণ না সেই আবেগ উবে যাচ্ছে বাস্তবের ঝড়-ঝাপটায় ততক্ষণ পত্রিকা চলে উল্কার গতিতে, ঝরনার বিভঙ্গে৷ তারপর মূলধনের টান বা অন্য কোনো কারণে যখন গোটা কাজটা ভারী বলে মনে হয় তখন সেই গতিময় উদ্দামতা থেমে যায়৷ যেন হেমন্ত আসার আগেই খসে পড়ে পাতা৷
এই নতুন পত্রিকাটিও খুব ব্যতিক্রমী কিছু বলে নিজেকে দাবি করছে না৷ দাবি করছে না মান বা গুণের দিক দিয়ে খুব আলাদা বা সেরা বলে৷ এর লক্ষ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি-কৃষ্টির বহু হারিয়ে-যাওয়া বা সময়ের স্রোতে ভুলে-যাওয়া ধারাকে হালফিল সংস্কৃতির সঙ্গে দু-মলাটের ভিতর তুলে ধরা—ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার সমন্বয় ঘটানো৷ এ-কাজে আমাদের যেমন অতীতকে খুঁড়তে হবে তেমনি বর্তমানকেও বিশ্লেষণ করতে হবে৷ অতীত ছাড়া যেমন বর্তমানের কোনো অস্তিত্ব নেই, তেমনই শুধু অতীতকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকলে ভবিষ্যৎও হয়ে পড়বে লক্ষ্যহীন৷ মনে রাখা দরকার, আজকে যা বর্তমান কালকে তা অতীত হবে, আজকের ভবিষ্যৎ কালকের বর্তমান হবে৷ এবং কালক্রমে অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের স্থানবদল ঘটে চলবে যতদিন এ পৃথিবীতে সময়ের চাকা ঘুরবে৷ চরকায় সুতো কাটতে-কাটতে বুড়ি যেদিন থামিয়ে দেবে হাত ঘোরানো সেদিন চিরতরে থেমে যাবে সময়ের ছটফটানি অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের স্থানবদল৷ তখন সবই লীন৷
তাই বহতা সময়ে যে-জিনিসগুলি দেখতে পাওয়া বা যা স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে তা আমরা ধরে রাখতে চাই ভবিষ্যতের জন্য ছাপা অক্ষরে পত্রিকার পাতায়৷ চারমাসে একবার প্রকাশিত হবে এই পত্রিকা৷ নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে ধরা হবে—লিখনে-চিত্রণে৷ সিনেমা থেকে গান, অক্ষর থেকে ছাপা, নাটক থেকে বিজ্ঞাপন, আড্ডা থেকে বাজার—যে-কোনো কিছুই আসতে পারে এর ভিতর৷ সব সময় সজাগ দৃষ্টি থাকবে পত্রিকার দু-মলাটের মধ্যে ধরে রাখা বিষয়গুলো যেন এক-একটি পূর্ণাঙ্গ বই হয়ে উঠতে পারে৷
পত্রিকার নামটি প্রতীক মাত্র৷ অতীতের গৌরবমাখা সভ্যতার নাম জড়িয়ে আমাদের নতুন পথচলা শুরু৷ আশাকরি আপনাদের পাশে পাব৷
প্রকাশকাল: অক্টোবর ২০১৭
প্রচ্ছদ ও শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ
সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি
গানপাগলের প্রস্তুতিকথা
সুধীর চক্রবর্তী
দেশভাগের প্রস্তুতি
হীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
‘সন্দেশ: প্রস্তুতি-পর্ব
প্রসাদরঞ্জন রায়
সাজঘরের ছবি
প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়
বাঙালির হারিয়ে যাওয়া গান
অভিরূপ সরকার
কলিকাতা অনাথ-আশ্রম: উদ্ভব ও শৈশব
দেবাশিস বসু...
বাঙালির মঞ্চ ও মঞ্চগান: পয়লা প্রস্তুতি
দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়
যে সুর বাজে
অভীককুমার দে
রবীন্দ্র-চিত্রকলার প্রস্তুতিপর্ব
সুশোভন অধিকারী
বিচিত্র প্রস্তুতিপর্ব
রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
ইতিহাসে কানহা
সুভদ্রা ঊর্মিলা মজুমদার
সূচনা পর্ব
অজয় কোনার
ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রস্তুতি পর্ব
ধ্রুবজ্যোতি নন্দী
‘বহুরূপী’র স্বপ্ন
ভবেশ দাশ
প্রস্তুতিপর্ব: শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন
বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়
শখের গোয়েন্দা থেকে গোয়েন্দাপুলিশ
অরিন্দম দাশগুপ্ত
বাংলার গ্রামীণ অপরাধ ও চৌকিদারি আইনের পটভূমি নির্মাণ
উৎপল চক্রবর্তী
প্রথম আখরগুলি
সুদীপ সিংহ
বাবা আলাউদ্দিন খানের মাইহার ব্যান্ড
অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়
চিনা কলাম্বাস
অমিতাভ সেনগুপ্ত
সাগরলঙ্ঘনের প্রস্তুতি
প্রবীর সেন
‘প্রবাসী-মর্ডান রিভিউয়ের’ প্রস্তুতি-পর্ব
অর্ণব নাগ
উপেক্ষিত অভিধান-নায়ক
সমীরকুমার ঘোষ
বাঙালির কলের গান
কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত
অ আ ক খ : পুথি থেকে পর্দায়
সুমন ভট্টাচার্য
একটি গান লেখার আগে
সৈকত কুণ্ডু
যাত্রাপথের প্রস্তুতি
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ
গোপী দে সরকার
বালিকার গৃহস্থালি এবং নারীর ভ্রম: সারদাসুন্দরীর কথা
শ্রেয়সী চক্রবর্তী
বাংলা পড়ার প্রস্তুতিবিষয়ক এলোমেলো কিছু কথা
বিশ্বজিৎ রায়
বিশ্বাসের ক্রুশ
অপ্রতিম চক্রবর্তী
প্রাক্-হরপ্পা প্রত্নস্থল কুণাল
বনানী ভট্টাচার্য
সংরক্ষণের তোড়জোর
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
প্রস্তুতি
দেবব্রত ঘোষ
দু্র্গা
সুব্রত চৌধুরী
দু্র্গা
পার্থ দাশগুপ্ত
ওঁ বন্যাদুর্গত দুর্গতিহারিণী
অনুপ রায়
বানভাসির সহায়
অরূপ ঘোষ
কথা গাইবার আগে
জয়দীপ মিত্র
করম
পার্থ পাল
শেষ ছোঁয়া
সৈকত মুখার্জি
গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।
সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।
বৈদ্যুতিন পুস্তিকা
করোনার আক্রমণে অন্তরীণ অবস্থায় ১ বৈশাখ ১৪২৭ থেকে ‘হরপ্পা’-র বৈদ্যুতিন পুস্তিকা প্রকাশের সূচনা। এই পুস্তিকা নিজেদের ওয়েবসাইট, সামাজিক মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। দেখবেন চলুন...