দ্বিতীয় বর্ষ, তৃতীয় বর্ষ সংখ্যা
সংবাদপত্র যে-কোনো দেশ বা জাতির ইতিহাসচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শুধু সমাজ-অর্থনীতি-রাজনীতি নয় এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে মুদ্রণসংস্কৃিত, হরফ, বানান প্রভৃতি নানা জরুরি বিষয়। বাংলার সংবাদপত্রের সূচনা ও বিবর্তনের ইতিহাস কিন্তু এর ব্যতিক্রম নয়। দীর্ঘ দুশো বছরের এই ইতিহাসে সংবাদপত্র শুধু পাঠক বা সমাজের দিক থেকে নানা প্রতিক্রিয়ারই সাক্ষী নয়, সাক্ষী বহু কিছুর। সে ইতিহাসকে তুলে ধরা হল দু-মলাটের ভিতর। ...
সব যুগেই একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে প্রয়োজন সেই রাষ্ট্রের সমগ্র অঞ্চলের খুঁটিনাটি সমস্ত খবর সংগ্রহের৷ তাই মুখে-মুখে বা চিঠির মাধ্যমে খবরাখবর আদানপ্রদানের রেওয়াজ চালু করেছিল শাসককুল৷ এই সমাচার ব্যবস্থার আধুনিক রূপ সংবাদপত্র৷ ভারতবর্ষে এর প্রচলন ১৭৮০-তে হিকির ‘বেঙ্গল গেজেট’ প্রকাশের মাধ্যমে৷ তবে বাংলা ভাষায় প্রথম সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও বেশ কিছুদিন৷ ১৮১৮-তে শ্রীরামপুর থেকে ২৩ মে প্রকাশিত হয় প্রথম বাংলা সংবাদপত্র ‘সমাচার দর্পণ’৷
পরবর্তী দুশো বছরের ইতিহাসে যেমন প্রকাশিত হয়েছে বহু কাগজ, তেমনি বন্ধও হয়ে গেছে অনেক৷ ঘটেছে বহু রদবদলও৷ পালটায় প্রযুক্তি, অনেক বার পরিবর্তিত হয়েছে আইন, বদলেছে সংবাদ-পরিবেশন পরিকাঠামো৷
প্রথম যুগে শুধুমাত্র অক্ষর নির্ভর ছিল সংবাদপত্রের প্রকাশন৷ এরপরে আসে নানারকম দৃশ্য সহায়ক অলংকরণ: কাঠখোদাই ছবি, রেখাচিত্র, আলোকচিত্র৷ একসময় খবরের কাগজে ছাপা কার্টুনের দারুণ জনপ্রিয়তা ছিল৷ পরে প্রযুক্তির উন্নতিতে শুরু হয় ফোটোগ্রাফির রমরমা৷ বর্তমানে আবার ইন্টারনেট এডিশনে স্টিল ছবির পাশাপাশি ভিডিয়োও দেখতে পাওয়া যায়৷ অন্যদিকে শুরুতে সাপ্তাহিক, দ্বিসাপ্তাহিক হিসেবে প্রকাশিত সংবাদপত্র দ্রুত দৈনিকে রূপান্তরিত হয়ে প্রতিদিন সংবাদ পরিবেশনের নিশ্চয়তা দিয়েছিল মানুষকে৷ আর আজ প্রভাতী বা সান্ধ্য দৈনিকের বেড়া ছিঁড়ে অনলাইনে তা ২x৭ ঘণ্টাই সজীব—সর্বদা আপডেট হচ্ছে খবর৷ মোবাইল বা কম্পিউটরে পাঠক ইচ্ছামতো খবরের কাগজ পড়ার সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় ধীরে-ধীরে মুদ্রিত সংস্করণের জনপ্রিয়তা কমছে৷ পাঠকের মতামত চিঠির আকারে ছেপে জনমত গড়ে তোলার কারিগর সংবাদপত্রের অনলাইন এডিশনে ‘কমেন্ট’ করে মতামত ব্যক্ত করার সুযোগের আজ সদ্ব্যবহার করছে পাঠক৷ অনেক ব্যাপ্ত হয়েছে পরিসর৷ বিশেষজ্ঞরা তাই মনে করছেন ইন্টারনেট এডিশনই সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ৷
এই বিবর্তনের চিত্র এ সংখ্যায় তুলে ধরার হল দুটি বিভাগে—‘নিজস্ব প্রতিবেদন’ ও ‘পাঠকের এজলাসে’৷ প্রথম বিভাগে বর্ষীয়ান সংবাদপত্র কর্মীরা উজাড় করে দিলেন তাঁদের অভিজ্ঞতার ডালি৷ দ্বিতীয় বিভাগে থাকছে এক অন্য অভিজ্ঞতার সম্পুট—সংবেদনশীল পাঠকের অভিব্যক্তি৷
খেদ একটাই, জনমত গঠনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্রের রক্ষণাবেক্ষণের বড়োই অভাব৷ সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর মতো সংস্থা পুরোনো কিছু কাগজ স্ক্যান করে সহজলভ্য করছেন—ধন্যবাদ জানাই তাঁদের৷ আশা রাখব ভবিষ্যতে আরও গঠনমূলকভাবে এই দলিলের সংরক্ষণ করা হবে—তবেই ধরে রাখা যেতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ইতিহাস৷
দ্রষ্টব্য: সংবাদপত্র প্রকাশনায় অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হরফ৷ প্রযুক্তির বদলের সমান্তরালে এই দুশো বছরে বারংবার বদল ঘটেছে বাংলা হরফের৷ সে-কথা স্মরণ করে এই পত্রিকার সঙ্গে ক্রোড়পত্র হিসেবে বিতরণ করা হল বাংলা হরফ নিয়ে রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিকার্ডো ওলোকোর গবেষণা সন্দর্ভের ভাষান্তর৷
প্রকাশকাল: জুন ২০১৯
প্রচ্ছদ ও শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ
সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি
নিজস্ব প্রতিবেদন
প্রিন্ট থেকে ডিজিটাল: সংবাদমাধ্যমের কৌতূহলী যাত্রাপথ
শম্ভু সেন
শব্দে জব্দ
সুপর্ণ পাঠক
‘আজকাল’-এর ‘ছোটদের পাতা’
ধ্রুবজ্যোতি নন্দী
বড়ো কাগজে প্রথম মহিলা সাংবাদিক
সুভদ্রা ঊর্মিলা মজুমদার
...সাংবাদিকতা, স্বাধীনতা, কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
শুভাশিস মৈত্র
সংবাদপত্রের শিল্প ভাবনা ও অলংকরণ
একটি ‘হরপ্পা লিখন চিত্রণ’ প্রতিবেদন
নতুন সংবাদপত্রের প্রথম দিন
বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়
সংবাদপত্রের ডিজাইন ও লে-আউট
কৃষ্ণেন্দু চাকী
সংবাদপত্র ও সত্যজিৎ রায়
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
এডুইন ও তার ডিজাইন ভাবনা
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
নিউজপেপার ডিজাইন ও এডউইন
সোমনাথ ঘোষ
পাঠকের এজলাসে
সংবাদপত্র: যা দেখেছি, যা দেখছি
সুধীর চক্রবর্তী
জেমস হিকি:ভারতবর্ষের প্রথম সাংবাদিক
দেবাশিস বসু
ভারতীয় সমাচার ব্যবস্থায় ‘কলকাতা গেজেট’
উৎপল চক্রবর্তী
‘হিন্দু পেট্রিয়ট’: উনিশ শতকের শেষার্ধে কলকাতা
সৌমিত্র শ্রীমানী
‘আনন্দবাজার’: বাজারে আসার বৃত্তান্ত
বরুণ চট্টোপাধ্যায়
কয়েকটি বিলুপ্ত দলীয় সংবাদপত্র
ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী
হেডলাইনের দেখাপড়া
সুস্নাত চৌধুরী
বাংলা খবরের কাগজের ভ্রম, দুঃখপ্রকাশ এবং ক্ষমাপ্রার্থনা
কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত
শোক-সংবাদ: স্মৃতি-সত্তা ও ভবিষ্যৎ
সুমন ভট্টাচার্য
কলকাতার দৈনিকপত্রে আলোকচিত্র
রাণু রায়চৌধুরী
প্রেস আইন: চতুর্থ স্তম্ভের কণ্ঠরোধ
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
সংবাদপত্রে কলকাতার গণপরিবহন
সৌভিক মুখোপাধ্যায়
অর্ধশতাব্দী আগের ‘কলকাতার কড়চা’
অর্ণব নাগ
‘আনন্দবাজার’ সংবাদপত্রে মুক্তিযুদ্ধ
উজ্জ্বল সরদার
‘গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকা’: কাঙালের কাগজ
উজ্জ্বল সরদার
‘নীহার’-এর বিজ্ঞাপনের অন্দরমহল
শ্যামল বেরা
সংবাদের আলোয় অন্তঃপুরের অন্ধকার
শেখর ভৌমিক
‘দর্পণে’ বাঁকুড়া:সমাজচেতনা অঞ্চল ভাবনা থেকে স্বদেশপ্রেমে উত্তরণ
আবীরলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
বীরভূমের কাগজ বীরভূমের খবর
অরিন্দম চক্রবর্তী
বাংলা সংবাদপত্রের বিগত তিরিশ বছর এবং ক্ষয়িষ্ণু সত্যতা
সৌম্যদীপ
মাননীয় সম্পাদক মহাশয় সমীপেষু
সৈকত মুখার্জি
গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।
সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।
বৈদ্যুতিন পুস্তিকা
করোনার আক্রমণে অন্তরীণ অবস্থায় ১ বৈশাখ ১৪২৭ থেকে ‘হরপ্পা’-র বৈদ্যুতিন পুস্তিকা প্রকাশের সূচনা। এই পুস্তিকা নিজেদের ওয়েবসাইট, সামাজিক মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। দেখবেন চলুন...