দ্বিতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা
শারদ উৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। দেবী দুর্গার আগমনে তাই বাঙালি মেতে ওঠে স্বাভাবিকভাবে। সেই দেবীর নানা খুঁটিনাটি তত্ত্বতালাস করা হয়েছে এই সংখ্যায়। মন্দির-টেরাকোটা থেকে ঠাকুরদালান, ছবি থেকে বিজ্ঞাপন, ফর্দ থেকে ঢাকের বাদ্যি, কাঠখোদাই থেকে মুঘল চিত্রকলা, পুরোহিত থেকে বিজ্ঞাপন, আগমনী গান থেকে ঠাকুরঘর—সর্বত্রব্যাপী তাঁর উপস্থিতিকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। ...
‘দেখিতে দেখিতে দেখি গেল ক’টা মাস,
শরৎ আসিয়ে পুনঃ হইল প্রকাশ’
সত্যিই দেখতে-দেখতে কেটে গেল একটা-দুটো নয় বারোটা মাস—মানে গোটা একটা বছর৷ এমনই এক শরতে গত বছর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘হরপ্পা লিখন চিত্রণ’৷ এক বছরে তিনটি সংখ্যা প্রকাশের পর আবার নতুন সংখ্যা আসছে পূর্ণ উদ্যমে৷ তাই পত্রিকার বছর শুরুর সময় হিসেবে শরৎ আমাদের কাছে বিশেষ উদ্দীপনার৷
কিন্তু আপামর বাঙালির কাছে এর গুরুত্ব অবশ্য আলাদা৷ শরতের আলো দেখলেই তাদের উৎসাহ বেড়ে যাওয়ার কারণ অবশ্যই দুর্র্গপুজো৷ যে-পুজোর অপেক্ষায় তারা থাকে সারা বছর৷ পাড়ায়-পাড়ায় প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে দু্র্গার আসার অপেক্ষায় দিন গোনে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বুড়োবুড়ি পর্যন্ত সকলেই৷
সেই দেবী দু্র্গাই আমাদের এ সংখ্যার কেন্দ্রীয় বিষয়৷ নানাজনের ভাবনায়-কলমে দেবী এসেছেন বিভিন্নভাবে৷ কারোর বিষয় দুর্র্গপুজোর স্মৃতি হলে, কারও আগমনী গান৷ কেউ ঠাকুরদালানের কথা ভাবলে অন্যজন লিখেছেন মুঘল চিত্রকলা বা মন্দির-অলংকরণে দু্র্গা নিয়ে৷ কাঠখোদাইয়ে দু্র্গাও বাদ যায়নি৷ দু্র্গাপুজো নিয়ে পুরোহিতদের কথা কারও চিন্তায় যখন এসেছে তখন আরেকটি কলমে উঠে এসেছে ফর্দ বা ঢাকিদের কথা৷ রয়েছে বিশেষ কোনো গ্রামের পুরোনো পুজোও৷ তেমনই আছে ক্ষিতিমোহন সেনের দেবীভাবনার প্রাঞ্জল ভাষ্য৷ আছে বিজ্ঞাপনে বা হাতে-আঁকা ছবিতে দু্র্গার কথা৷ এসেছে দিশি পুজোয় রুশি বইয়ের প্রসঙ্গ৷ এত কিছুর মধ্যে থিমের পুজো বাদ পড়েছে, তা ভাববেন না কিন্তু!
দেবী তো আর একা আসেন না, আসেন সপরিবারে৷ তাই ‘দুর্র্গকথা’-র পাশাপাশি এসেছে ‘দেবগাথা’৷ সেখানে আমাদের দেবকথা-র সঙ্গে রয়েছে গ্রিক দেবতারাও৷ আছে পান্ডা আর কুলদেবতার খবর৷ শোলার কাজ করে পুজো-নির্ভর জীবনজীবিকা যাঁদের তাঁদের কথাও আলোচনা হয়েছে৷
কিন্তু সবাই তো আর পুজোয় বসে দেবভজনা করেন না—তাদের আনন্দটা আবার অন্য জায়গায়৷ পুজোর ক-দিন বসে গল্পের মেলা৷ দেখা হয় পুরোনো পরিচিতের সঙ্গে৷ ওঠে চায়ের কাপে তুফান৷ আলোচনায় উঠে আসে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাওয়া কোনো আমুদে জীবনের গল্প৷ নিছক গল্পও বাদ পড়ে না৷ এসব কথা মাথায় রেখে সব শেষে রয়েছে ‘বিনোদন’ বিভাগও৷
আসুন শুরুর কথার রেশ টেনেই ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায়ের সুরে সুর মেলাই:
‘বাজিয়া উঠিল পুনঃ মধুর বাজনা
ঢাকে ঢোলে দুর্গোৎসব করিল ঘোষণা৷’
প্রকাশকাল: অক্টোবর ২০১৮
প্রচ্ছদ ও শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ
অলংকরণ: সুব্রত চৌধুরী, দেবাশীষ দেব, পার্থ দাশগুপ্ত ও ঋতুপর্ণ বসু৷
সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি
দুর্গাকথা
শ্রীশ্রীদু্র্গামাতা সহায়
সুধীর চক্রবর্তী
সর্বরূপময়ী দেবী সর্বদেবীময়ং জগৎ
প্রণতি মুখোপাধ্যায়
অবলুপ্ত ঠাকুরদালান
দেবাশিস বসু
শারদোৎসব: জেন্টু থেকে ভদ্রলোক
উৎপল চক্রবর্তী...মুঘল চিত্রকলায় দেবী
অশোককুমার দাস
কাঠখোদাইয়ে দুর্গা
অসিত পাল
চারবাংলা মন্দিরগাত্রে মাতৃকা মূর্তি
অজয় কোনার
প্রত্নদু্র্গা
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
ঠাকুরঘর
পার্থ দাশগুপ্ত
পুজো এবং পুরোহিত
নবকুমার ভট্টাচার্য
দুর্গাপূজার ফর্দ: ইতিহাসের উপাদান
উজ্জ্বল সরদার
ঢাকের বাদ্যি
সমতা মুখার্জি
দেবীপক্ষ
সুদীপ সিংহ
দিশি পুজো, রুশি বই
রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
পুজোর ছবি, ছবির পুজো
কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত
বিজ্ঞাপনে পুজো, পুজোর বিজ্ঞাপন
কৌশিক মজুমদার
চন্দ্রকোণার গাংচে গ্রামের বুড়িমা
বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়
আগমনী গান ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি
মানস বসু
দেবগাথা
রূপসাগরে অরূপরতন: রূপকথার গ্রীস
হীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
সতীর যাত্রা: একটি আখ্যান
বিশ্বজিৎ রায়
ব্রতের আলপনা
সুশোভন অধিকারী
অথ লক্ষ্মীপুরাণ থা
শ্যামল বেরা
দেবগণের গৃহে আগমন
অর্ণব নাগ
পান্ডা ও তার ‘দস্তখৎ বহি’
শেখর ভৌমিক
বাংলার মন্দির-টেরাকোটায় কালী
দেবাশিস নন্দী
মহেশপুরের শোলাশিল্প
দীপককুমার বড়পন্ডা
বিনোদন
সমাজতন্ত্রের দুই প্রাক্তনী: স্লোভেনিয়া ও চিন
অভিরূপ সরকার
বাই থেকে জান: এক যাত্রাপথ
অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়
সার্থবাহ
অমিতাভ সেনগুপ্ত
ইলকেস্কুটাইনোভিচের গল্প
সৌম্যদীপ
গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।
সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।
বৈদ্যুতিন পুস্তিকা
করোনার আক্রমণে অন্তরীণ অবস্থায় ১ বৈশাখ ১৪২৭ থেকে ‘হরপ্পা’-র বৈদ্যুতিন পুস্তিকা প্রকাশের সূচনা। এই পুস্তিকা নিজেদের ওয়েবসাইট, সামাজিক মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। দেখবেন চলুন...