প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা
বিনোদন মাধ্যম হিসেবে সিনেমার কদর আজ অনস্বীকার্য। মানস-ভ্রমণে সিনেমার গল্পের গতিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে মুহূর্তকালই যেন যথেষ্ট। শুধু দর্শকই নয় পরিচালক বা অভিনেতাদেরও ভ্রমণ হয় সিনেমার জন্য শুটিং স্পট বাছতে গিয়ে বা শুটিং করতে গিয়ে। এমনই সব বিষয়ে বহু প্রথম সারির লেখক কলম ধরলেন সত্যজিৎ রায় মৃণাল সেন ঋত্বিক ঘটক তপন সিংহ প্রমুখ পরিচালকদের সিনেমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভ্রমণ নিয়ে। ...
ইচ্ছা সম্যক্ জগদরশনে কিন্তু পাথেয় নাস্তি
পায়ে শিক্লি মন উড়ু উড়ু এ কি দৈবের শাস্তি!
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পাথেয়’-র অভাব কিংবা ‘সম্যক্ জগদরশন’-এর ইচ্ছা নিয়ে আমাদের মনে সংশয় থাকলেও অনেকেরই বেড়ানোর সাধ কিন্তু হামেহাল রেস্তর অভাবে পূরণ হয় না৷ কাশ্মীর কি কন্যাকুমারী ঘোরার স্বপ্ন তখন নিদেনপক্ষে বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর অথবা বোলপুর-শান্তিনিকেতন গিয়ে মিটিয়ে নিতে হয়—কোনো-কোনো সময় অবশ্য তা-ও হয় না৷ একটু ভেবে-চিন্তে দেখলে সেই বেড়ানো-বাই-টা সহজে-সস্তায় মিটিয়ে নেওয়ার রাস্তা একটা আছে—দুধের স্বাদ ঘোলে হলেও—সিনেমার পর্দায়৷
রুপোলি পর্দায়, একেবারে শুরুর যুগ থেকেই, নড়াচড়া-করা ছবির ভিতর দিয়ে আমরা চলমান এক বাস্তবকে দেখতে পাই, যে-মজাটা ফোটোগ্রাফ বা স্থিরচিত্রে নেই৷ যদিও অনেকে বলবেন, ফোটোগ্রাফে বিশেষ একটা মুহূর্তকে ধরে রাখা যায়—তবে যতদিন ফোটোগ্রাফ বা নেগেটিভটি বাঁচবে ততদিনই ওই মুহূর্তটুকু টেঁকসই৷ কিন্তু তা-তে প্রাণ কই—‘গ্রেসিয়ান আর্ন’-এর ওপর খোদাই ছবি তিনটের মতো ওই ফোটোটাও ইতিহাসকে জাপটে ধরে স্থির হয়ে বসে থাকবে৷ প্রতিদিন পালটে-যাওয়া এই পৃথিবীতে কিন্তু পুরোনো কিছুকে আঁকড়ে বসে থাকলে চলবে না—ঘুরতে হবে, দেখতে হবে, জানতেও হবে৷ তাই সিনেমা৷
সিনেমা দেখতে বসার পর আমরা খেয়াল করি, চরিত্রদের স্থান পরিবর্তন হচ্ছে, সে একই ঘরের মধ্যে হোক বা দূরে কোথাও—আমরাও তাদের সঙ্গে চলতে শুরু করি সেই পথে৷ এইভাবে বম্বে টু গোয়া তো বটেই, চলে যাই বঙ্গোপসাগর থেকে বাল্টিক সাগরে, এভারেস্ট থেকে আল্পসে, থর থেকে গোবি, আন্দামান থেকে আমাজনের জঙ্গলেও৷ সব সময়ে চরিত্ররা কিন্তু বেড়াতে বেরোন না—কাজেও যান, দায়িত্বের খাতিরে, এমনকি বাড়ি থেকে পালিয়ে অথবা পুলিশের তাড়া খেয়ে কিংবা অপরাধীর পেছন-পেছন৷ তাদের ভ্রমণ না-হলেও আমাদের বেড়ানো তো হয়ই৷ আর এভাবে নতুন-নতুন জায়গা দেখতে-দেখতে আমাদেরও সে-জায়গার ওপর জন্মায় আকর্ষণ—কোনো একদিন ঘর থেকে ওই টানেই বেরিয়ে পড়ি, একা বা দল বেঁধে৷ ঠিক যেমনটা হয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লা-য়, অপরাধীর পেছনে ধাওয়া-করা ফেলুদা যখন জাতিস্মর মুকুলের গত-জন্মের বাড়ি জয়সলমির কেল্লায় পৌঁছান—আমরাও চলে গিয়েছিলাম ওর সঙ্গেই৷ দেখেছিলাম এক অপরূপ সুন্দর দুর্গ৷ এরপর যা হল তা তো ইতিহাস—ওই ‘লিভিং ফোর্ট’-টি হয়ে গেল ভারতে বেড়ানোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ৷ এরকম উদাহরণ তো অনেক৷
সিনেমায় বেড়ানোর এমন হরেক খুঁটিনাটি এবার তুলে ধরা হল পাঁচটি পর্বে৷ যদিও বাকি রইল ঢের—যেমন আমাদের অদেখা রয়েছে এই বিরাট পৃথিবীর বহু কিছুই৷ আর তাই ঘরে বসেই সিনেমার খুলে-দেওয়া জানলা দিয়ে ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো আমরা দেখব অজানা জগৎকে আর আনন্দে গুনগুন করব:
‘আমার মুক্তি আলোয় আলো য় এই আকাশে...’
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১৮
প্রচ্ছদ ও শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ
সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি
ক্লোজ-আপ
গ্রাম থেকে গ্রামে
তরুণ মজুমদার
মুখোমুখি: সন্দীপ রায়
সাক্ষাৎকার
মুখোমুখি: অঞ্জন দত্ত
সাক্ষাৎকার
মুখোমুখি: কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়
সাক্ষাৎকার
মুখোমুখি: অতনু ঘোষ
সাক্ষাৎকার
মুখোমুখি: অর্ঘ্যকমল মিত্র
সাক্ষাৎকার...মিড-ক্লোজ-আপ
ঋত্বিক ঘটকের ছবিতে ভ্রমণ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
সত্যজিৎ রায়ের লোকেশন ভ্রমণ
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুয়িন ...
নিবিড় মিত্র
কালের যাত্রার ধ্বনি
অপ্রতিম চক্রবর্তী
সেলুলয়েডে পুরুলিয়া
সুদীপ সিংহ
নেই মানার কল্পযান: :আলোছায়ারূপান্তরে
বরুণ চট্টোপাধ্যায়
আকালের সন্ধানে
দেবাশিস বসু
সোমসাহেবের সফর
নীলাব্জ দাস
মহাপ্রস্থানের পথে: একটি যাত্রার কাহিনি
অমিতাভ সেন
মিড-শট
ছবিও যখন বেড়াতে যায়
অরুণেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
না-ভ্রমণের নামগান
সাক্ষাৎকার
অপর পরিসরে সিনেমার যাত্রা
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
অপর পরিসরে সিনেমার যাত্রা
অনিন্দ্য সেনগুপ্ত
বাংলা সিনেমা: এড়ানো-বেড়ানো-ট্যারানো
সুমন ভট্টাচার্য
ভারতীয় চলচ্চিত্র: পর্যটনের শিল্পায়ন
উৎপল চক্রবর্তী
পথি পুরুষোবিবর্জিতঃ
মলি ঘোষ
সিনেমার গানে ভ্রমণ
রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
লং-শট
অ্যাকশন ছবি, ট্যুরিজম আর অপরাধ-সাহিত্য
অরিন্দম দাশগুপ্ত
বন্ড-সিনেমায় বিশ্বভ্রমণ
কৌশিক মজুমদার
আত্মোপলব্ধির যাত্রা
সিদ্ধার্থ পাল
চলচ্চিত্রে সময়পঠন
অর্ক চক্রবর্তী
ট্র্যাক-শট
সিনেমায় ভ্রমণ এবং যাত্রা
দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়
সিনেমা-পোকার ভ্রমণকাহিনি
ধ্রুবজ্যোতি নন্দী
ইতিহাস কিংবদন্তি:পিরিয়ড-ড্রামার চারকন্যা
অমিতাভ সেনগুপ্ত
বাংলা সিনেমায় ভ্রমণ
স্যমন্তক চট্টোপাধ্যায়
সিনেমা: ভ্রমণ-বাহন
সৈকত মুখোপাধ্যায়
গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।
সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।
বৈদ্যুতিন পুস্তিকা
করোনার আক্রমণে অন্তরীণ অবস্থায় ১ বৈশাখ ১৪২৭ থেকে ‘হরপ্পা’-র বৈদ্যুতিন পুস্তিকা প্রকাশের সূচনা। এই পুস্তিকা নিজেদের ওয়েবসাইট, সামাজিক মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। দেখবেন চলুন...