শতবর্ষে শিবকুমার
২ অক্টোবর, ২০২১
সংগীতপ্রাণতা বাঙালির রক্তে। সুরের প্রাবল্যে সদর মফস্সলে কোনো ভেদ নেই। বরং প্রকৃত সংগীতসাধক সেই সুরের জাদুতে সদর মফস্সলের দূরত্বকে মিলিয়ে দেন। নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা সংগীতশাস্ত্রী শিবকুমার চট্টোপাধ্যায় তেমনি একজন জাদুকর। ২ অক্টোবর ২০২১ তাঁর জন্মশতবর্ষে ‘শতবর্ষে শিবকুমার’ পুস্তিকাটি তাঁর প্রতি ‘হরপ্পা’-র একটি বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য। ...
দোসরা অক্টোবর—জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন৷ ‘না শুধু মহাত্মার নয়, দিনটা দুরাত্মা গুলিন-এরও জন্মদিন’—রসিকতাটি স্বয়ং গুলিনদার—শিবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের৷
সংগীতশাস্ত্রী শিবকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ১৯২১ সালের দোসরা অক্টোবর৷ রানাঘাটে সে এক যুগ ছিল—গানের যুগ৷ শাস্ত্রীয় সংগীতে সুপারদর্শী পণ্ডিত উমানাথ কথকরত্নের পুত্র ‘রানাঘাট ঘরানা’-র পিতৃপুরুষ সংগীতাচার্য নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং তাঁর শিষ্যবর্গ বিশেষত নগেন্দ্রনাথ দত্ত, রানাঘাটের ‘কোয়েল’ নির্মল চট্টোপাধ্যায় (পদ্মবাবু), সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রমুখ শিল্পিগণ রানাঘাটকে সুরের ঝর্ণাধারায় নিত্য রসসিক্ত করে রেখেছিলেন৷ রানাঘাটের আকাশে-বাতাসে তখন আলাপ-তান-মীড়-গমক-মূর্চ্ছনার সমারোহ-রাগরাগিণীর নিত্য আসা-যাওয়া৷ এমনই এক সময়ে শিবকুমারের জন্ম৷ কিন্তু তার আগে রানাঘাট ঘরানার কথা একটু বিশদে আলোচনা করা যাক—যদিও এ বিষয়ে পূর্বেই আলোচনা
করা হয়েছে৷
রানাঘাটের কাছেই গাংনাপুর অঞ্চলে মালিপোতা গ্রাম৷ সেখানে এক পণ্ডিত বংশে পণ্ডিত গৌরীনাথ ভট্টাচার্যের জ্যেষ্ঠ সন্তান উমানাথ ভট্টাচার্য (১৮২৯-১৮৯৮)-এর জন্ম৷ উমানাথ ছিলেন সুকণ্ঠের অধিকারী৷ উমানাথ যখন নিতান্তই তরুণ তখন তাঁর কন্ঠে মুগ্ধ হয়ে উত্তরবঙ্গের এক জমিদার তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যান৷ পরবর্তী আট বছর জমিদার মশাই-এর প্রযত্নে উমানাথ বিভিন্ন গুরুর কাছে তালিম নিয়ে শাস্ত্রীয় সংগীতে সুপণ্ডিত হয়ে ওঠেন৷ উমানাথের গুরুদের মধ্যে ছিলেন দিলওয়ার খাঁ, হস্যু খাঁ, বড়ে দুন্নী খাঁ-র মতো প্রখ্যাত শিল্পীরা৷ গুপ্তিপাড়ার অম্বিকাচরণ এবং শান্তিপুর-এর মহেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়-এর কাছে টপ্পা গানের তালিম নিয়ে এই আঙ্গিকটিতে অসাধারণ পারদর্শিতা অর্জন করেন তিনি৷ তারপর উমানাথ ফিরে আসেন স্বগ্রাম মালিপোতায় আর জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করেন কথকতাকে৷ রাগরাগিণীর প্রয়োগে গ্রাম্য কথকতাকে এক শিল্পে উন্নীত করেন উমানাথ কথকরত্ন৷ রানাঘাটের পালচৌধুরী জমিদারগণ ছিলেন উমানাথের এক বড়ো পৃষ্ঠপোষক৷ ...
প্রকাশকাল: ২ অক্টোবর, ২০২১
লিখন: শংকরনাথ ঘোষ
প্রচ্ছদ অলংকরণ ও শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ
সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি
বিশেষ সহযোগিতা: সৌম্যদীপ
গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।
সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায়
সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে
পারেন।
মুদ্রিত সংখ্যা
হরপ্পার যাত্রা শুরু ২০১৭-র অক্টোবর মাসে চতুর্মাসিক পত্রিকা হরপ্পা লিখন চিত্রণ-এর প্রকাশলগ্নে। মূলত সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে হরপ্পা আত্মপ্রকাশ করে বাংলার
শিল্পসংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান রীতিনীতি পালাপার্বণ প্রভৃতি নানা বিষয়কে দু-মলাটের ভিতর নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে। দেখবেন চলুন...