শঙ্খ ঘোষ
৫ অগস্ট, ২০২১
করোনাকালে একে একে বিদায় নিয়েছেন অনেকেই। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত হচ্ছে সে-তালিকা। তাঁরা স্বক্ষেত্রে চিরস্মরণীয় স্বাক্ষর রেখে গেছেন বহুভাবে। এই আকালে ২১ এপ্রিল ২০২১ ঘটে গেল ইন্দ্রপতন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। তাঁর স্মৃতিকে অমলিন করে রাখতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশ কিছু কৃতী কবিকে স্মরণ করেছেন নানাভাবে। তাঁদের স্মৃতিলেখ ও বিভিন্ন দুর্লভ আলোকচিত্রের মাধ্যমে হরপ্পার নিবেদন এই শ্রদ্ধার্ঘ্য পুস্তিকা। ...
‘এই পৃথিবী না থাকলে থাকত শুধু অন্ধকার। কিছুই থাকত না এই সৌরলোক
না থাকলে। কিন্তু কোথায় থাকত সেই না-থাকা, কোন্ পাত্রে? (ভাষা)
করোনার গ্রাসে ধীরে ধীরে খালি হয়ে চলা প্রবীণ বুধগোষ্ঠীর কথা ভাবলেই চমকে উঠি। মনে পড়ে মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় না-থাকলে বেড়ে-ওঠার কালে কী করে পড়তাম অত অনুবাদ গল্প কিংবা ক্রিকেটের ইতিহাস। প্রণবকুমারের অনুপস্থিতিতে মজারুর আনন্দ কেই-বা দিত আনন্দমেলার পাতায়। সদর-মফস্সলের রস-অ্যাখ্যানই হোক অথবা গূঢ় গৌণজীবনের আলোআঁধারী কথা, কী করে জানতাম সুধীর বাউলের সরস কলম ভিন্ন। ইহজাগতিক জীবনের নিরাড়ম্বর ধর্মনিরপেক্ষতার শিক্ষাই-বা কোথায় পেতাম আনিসুজ্জামানের লেখনী ছাড়া। এঁদের মতো আরও অনেকের অনুপস্থিতি ব্যথিত করে। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত হয় সে-তালিকা। ২১ এপ্রিল ২০২১ ইন্দ্রপতন ঘটল আবার—না-ফেরার দেশে যাত্রা করলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। আর কেউ তাঁর মতো করে বলবে না:
কড়িকাঠ থেকে বুকের রক্ত পর্যন্ত ঝুলে-পড়া মাকড়সা
অনেকদিন পরে ঢুকতে গেলে ডাল জড়িয়ে ধরে মাথায়,
বলে—এসো এসো, এই তো কত গ্রীষ্ম বর্ষা
কত শীত হেমন্ত বসে আছি তোমার প্রতীক্ষায়, এসো—
ব’লে ভিজে অন্ধকারে মনোহীনতার গন্ধে টেনে নিতে-নিতে
শুষে নেয় আমার সমস্ত উদ্ভিদ, আমার অন্তরাত্মা।
(প্রতীক্ষা)
তাঁর প্রতীক্ষা হয়তো শেষ। আমাদের অভিভাবকহীন প্রহর গোনা শুরু।
প্রকাশকাল: ৫ অগস্ট, ২০২১
প্রচ্ছদ অলংকরণ ও শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ
সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি
লেখকসূচি
শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়
কুমার সাহনি
ভবেশ দাশ
ভিভান সুন্দরম
রুশতী সেন
অভীককুমার দে
মুজিবর রহমান
শামসুর রহমান ও শঙ্খ ঘোষ
জান্নাতুল মাওয়া
নাহাস খলিল
পিয়াস মজিদ
ভূঁইয়া ইকবাল
গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।
সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায়
সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে
পারেন।
মুদ্রিত সংখ্যা
হরপ্পার যাত্রা শুরু ২০১৭-র অক্টোবর মাসে চতুর্মাসিক পত্রিকা হরপ্পা লিখন চিত্রণ-এর প্রকাশলগ্নে। মূলত সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে হরপ্পা আত্মপ্রকাশ করে বাংলার
শিল্পসংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান রীতিনীতি পালাপার্বণ প্রভৃতি নানা বিষয়কে দু-মলাটের ভিতর নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে। দেখবেন চলুন...