তৃতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা
দুর্গা বাঙালির প্রধান আরাধ্যা। দুর্গার নানা রূপ। নানাভাবে পুজো-আরাধনা হয় তাঁর। দেবীকে যেমন দেখা যায় মৃন্ময়ী রূপে তেমনই তাঁর দেখা মেলে মন্দিরের দেওয়ালে, পটের ছবিতে, মিনিয়েচার প্রিন্টের পাতায়, দশাবতার তাসে, সুভেনিয়রের পৃষ্ঠায়—আরও অনেক জায়গায়। দেবীর সপরিবারে আগমনে শুধু অন্যান্য দেবদেবীরা নন, অসুর পর্যন্ত বাঙালির আলোচনায় পান যথেষ্ট গুরুত্ব। তাঁর নানা রূপবৈচিত্র্য ধরা পড়েছে এই সংখ্যায়। ...
দুর্গাপুজোর প্রচলনের পর থেকে ফি-বছর তার জনপ্রিয়তা এমনভাবে বাড়তে থাকে যে গত শতকের শুরুর দিকে বাঙালির এই প্রাণের উৎসব বড়োবাড়ির ঠাকুরদালানের চার-দেওয়ালের বাঁধন কেটে ছড়িয়ে পড়েছিল পাড়ায়-পাড়ায় বারোয়ারিতে৷ ততদিনে এই উৎসব হয়ে উঠেছিল এক মিলনমেলা—সব ভেদাভেদ ভুলে যে-পার্বণে সকলে মিশে যেত আনন্দে উত্তেজনায়৷ সেসময়ে বাঙালির জীবন ছিল যূথবদ্ধ৷ দুর্গাপরিবারের মতো তাদের যৌথসংসারে সবাই হাতে হাত ধরে বেঁধে-বেঁধে থাকত৷ একের সমস্যায় অন্য পড়শি এগিয়ে আসতে কোনো দ্বিধা করত না, একের দুঃখে অন্যের প্রাণ কেঁদে উঠত৷ তাই তাদের পুজোর রোশনাই-চমক কম থাকলেও প্রাণের টান যে ছিল, সে নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই৷ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্র্গপুজো একদিন হয়ে উঠল ‘ইভেন্ট’৷ বারোয়ারির জমক-গরিমায় ম্লান হয়ে গেল বনেদিয়ানার বারদালান৷ কিন্তু একই সঙ্গে একা হয়ে পড়েছিল যৌথজীবনে বেড়ে-ওঠা বাঙালি৷ প্রযুক্তির কল্যাণে নিজস্ব জগতের পরিধি অনেক বড়ো হওয়ার সঙ্গেই সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল তার জীবন—সে এখন ব্যক্তি জীবনের চৌহদ্দিতে বন্দি৷ পুজো এলে এখন আর মামাতো- পিসতুতো-জ্যাঠতুতো ভাইবোনেরা দল-বেঁধে মণ্ডপে-মণ্ডপে ঘোরার কথা তেমন করে ভাবতে পারে না৷
এখন তাদের এক অনাবিল আশ্রয় হল সোশ্যাল মিডিয়া৷ ঘরে বসে মুঠোর মধ্যে দুনিয়াকে ধরে দেখে নিতে পারছে এক সময়ের কাছের মানুষদের৷ শেয়ার করা কোনো ‘লাইভ ভিডিয়ো’-তে ফুটে ওঠে বহুদিন না-দেখা কোনো মুখ—সেই একইরকম চালচলন, কথাবার্তা—সব কিছু এক লহমায় যেন ফিরে আসে৷ কখনো পর্দায় ভেসে ওঠে সেই কবে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর ‘প্রোফাইল’ অথবা যোগাযোগ ছিন্ন কোনো সহপাঠী হাতছানি দেয় হঠাৎ৷ ইচ্ছে করলেও যেতে পারছে না এমন কোনো পুজো দেখাও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আর অগম্য থাকে না৷ ছুটির মধ্যে দরকারি কাজে আটক বহুজাতিক সংস্থার কর্মী ঘরে বসেই যোগ দেয় কলেজ জীবনের বন্ধুদের মিলনমেলা—দুধের স্বাদ ঘোলে তো মিটল৷ এমনকি বেশ কয়েক বছর আগের পুজোর স্মৃতির ঝলকও মুহূর্তে উঁকি দিয়ে যায় হাতে-ধরা পর্দায়৷ কাতর মন চায় ওই আনন্দময় স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনতে৷
চলুন আমরাও আলোর বেণু বেজে ওঠার পর এমন আনন্দঘন মুহূর্তকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি৷ তাই দেবীপক্ষের শুভ আগমনে সকল পাঠক বন্ধুকে পত্রিকার পক্ষ থেকে জানাই আগাম শারদ শুভেচ্ছা ৷ পুজোয় সবাই ভালো থাকুন৷
প্রকাশকাল: অক্টোবর ২০১৯
প্রচ্ছদ ও শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ
সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি
যদ্ বা মনসা রোচতে
সুধীর চক্রবর্তী
কে রয় ভুলে তোমার মোহন রূপে
প্রণতি মুখোপাধ্যায়
অবলুপ্ত ঠাকুরদালান ২
দেবাশিস বসু
দুর্গাপাঠ-এর একটি চিত্রিত পুথি কয়েকটি গোড়ার কথা
অশোককুমার দাস
...পটের ছবি ছবির ছড়া
সুশোভন অধিকারী
দশাবতার গঞ্জিফা
অজয় কোনার
সাহেবসুবোর শারদোৎসব:এই বঙ্গের নানান রীতির দুর্গাপুজো
উৎপল চক্রবর্তী
দিল্লিতে দুর্গোৎসব: আংশিক রূপরেখা
সত্যশ্রী উকিল
পট-ভূমির বর্তমান
কিশোর দাস
মা দুর্গার জাগরণ থেকে নিমজ্জন
নবকুমার ভট্টাচার্য
পটদুর্গার শৈলী: শিল্পী ও পরম্পরা
দীপঙ্কর ঘোষ
আবাহনে আলপনা
পার্থ দাশগুপ্ত
দুর্গাপুজোর সুভেনির
কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত
পাড়ার পুজো, পুজোর নাটক
রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
মা দুর্গার রূপায়ণ: শিল্পী অসিতকুমার হালদার
গৌতম হালদার
কলের গানে আগমনী সুর>
কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত
সুনীল পাল
মৃন্ময়ী দেব
প্রদীপের আলোয়, ও কুসুম জাগো
রজত চক্রবর্তী
পড়শি দেশের শারদোৎসব: চট্টগ্রামের দুর্গাপুজা
রাজীব নন্দী
হদলনারায়ণপুরের মণ্ডল বাড়ির দুর্গোৎসব
দেবাশিস নন্দী
মহিষাসুরমর্দিনী কথা
সমতা মুখার্জি
অমর্ত্যের শোলাশিল্পে মোহিত মর্ত্য
রণদেব মুখোপাধ্যায়
দেবী শক্তি মহামায়া
মণিদীপা বোস
মহিষমর্দিনী পালা
সুদীপ সিংহ
অন্তরবাসিনী দুর্গা
সাহাবুদ্দিন
পুজো দেখার চোখ
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
প্রত্নলক্ষ্মী
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত
বঙ্গ সংস্কৃতিতে দশমহাবিদ্যা
সোমা মুখোপাধ্যায়
হিন্দুতীর্থ ও বাঙালিনি
শেখর ভৌমিক
প্রথমপুরুষ
অমিতাভ সেনগুপ্ত
মহিষাসুর
সৌম্যদীপ
গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।
সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।
বৈদ্যুতিন পুস্তিকা
করোনার আক্রমণে অন্তরীণ অবস্থায় ১ বৈশাখ ১৪২৭ থেকে ‘হরপ্পা’-র বৈদ্যুতিন পুস্তিকা প্রকাশের সূচনা। এই পুস্তিকা নিজেদের ওয়েবসাইট, সামাজিক মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। দেখবেন চলুন...