<Transparent Logo
Scroll down

prabase_banijya_base

প্রবাসে বাণিজ্য বশে
২৫ ডিসেম্বর, ২০২১

প্রাক-আধুনিক ইহুদি বণিক বাংলা অবধি পৌঁছয় এবং বসতি গড়ে এমন কোনো প্রমাণ নেই। ইংরেজ ইহুদি বণিক অ্যাল‍ভারো ডি ফনসেকা’র (Alvero de Fonseca) উদ্যোগে ১৬৯৩ থেকে বাংলার সঙ্গে ফোর্ট সেন্ট জর্জের (চেন্নাই) ইহুদি বণিকদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূচনা। চিন, বার্মা, বাংলার সঙ্গে বাণিজ্য করত হীরে ও অন্যান্য মাণিক্য, সূতিবস্ত্র, কাঠের ব্যবসায়ী অ্যাল‍্ভারো। সে বাণিজ্যকাহিনি নিয়ে ’হরপ্পা’-র নিবেদন এই পুস্তিকাটি। ...

কী আছে ভিতরে

আঠারো শতকের দ্বিতীয় অর্ধে (১৭৫৬/৫৭) ইহুদি বণিক আব্রাহাম জেকবস্‌ ও তার আর্মেনিয়ান বণিক বন্ধু পেট্রস আর্‌রাতুন ( Petros Arratoon ) অন্ধ কূপ (‘Black Hole’) দুর্ঘটনার (১৭৫৬) জীবিতদের খাবার সরবরাহ করে সমাজসেবী হিসেবে নাম কেনে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিশ্বস্ত মুৎসুদ্দি ছিল আব্রাহাম। দোসরা জানুয়ারি ১৭৭২ সম্পাদিত একটি ইচ্ছাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে লন্ডনের ধনী বণিক জোসেফ ইজরায়েল লেভি (Joseph Israil Levy) ‘কিংডাম অভ বেঙ্গল’র কলকাতার বাসিন্দা। কতদিন সে কলকাতায় ছিল সেটা অজ্ঞাত। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষে সুরাটে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুঠী ঘিরে ইহুদি বণিক বসতি হলেও কোম্পানির তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ইহুদি বণিকের বাস শুরু ১৮ শতকের শেষে বাংলার গর্ভনর জেনারেল আর্ল কর্নওয়ালিসের আমলে (১৭৮৬- ১৭৯৩)। হীরে মুক্তো,মুর্শিদাবাদ সিল্ক,আফিম ও নীলের ব্যবসা করত লন্ডনের বড়ো ব্যবসায়ী ইজরায়েল লেভিন সালোমনস’র (Isreal Levin Salomons) সংস্থা House of Trade। ভারতে ব্যবসা বাড়াতে বাংলায় একজন প্রতিনিধি পাঠাতে চাইছিল সালোমনস। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে কোম্পানির হীরে ব্যবসা তদারকির জন্য House of Trade-এর দুই প্রতিনিধিকে বেনারসে থাকতে দেবার অনুমতি চেয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কোর্ট অফ ডাইরেক্টরস্‌’র কাছে ১৭৮৫-তে আবেদন করে ইজরায়েল লেভিন সালোমনস। কোম্পানি তা অনুমোদন করে এবং সালোমনসের কাছে সম্ভাব্য প্রতিনিধির নাম চেয়ে পাঠায়। ১ ফেব্রুয়ারি ১৭৮৬ জার্মান ইহুদি (Ashkenazi Jew ) লিওন প্রাজেরের (Lyon Prager) নাম কোম্পানিকে জানায় সালোমনস্। লিওন প্রাজের-কে সাত বছরের জন্য বেনারস থাকার অনুমোদন দেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লন্ডনস্থ কোর্ট অব ডিরেক্টরস। ক্যালকাটা গেজেট এই নিযুক্তি বিজ্ঞাপিত করে পয়লা সেপ্টেম্বর ১৭৮৬। কোম্পানির ইনস্পেক্টর অফ ইন্ডিগো অ্যান্ড ড্রাগস্‌ নিযুক্ত হয় লিওন প্রাজের। নদীপথে বেনারস থেকে হীরে,মুক্তো কলকাতা পাঠান এবং সেসব রত্নের গুণগত মান তদারকির দায়িত্ব ছিল তার। স্থানীয় বণিকমহলে সুনাম কেনে লিওন প্রাজের। বাংলার হীরে বাজারের হালচাল জানত। সে বোঝে অশোধিত হীরে কেনায় নিযুক্ত কোম্পানির কর্মীরা হীরের সঠিক মান বিচার করতে পারে না। চোরা কারবারও চলে। ফলে কোম্পানি এবং সৎ ব্যবসায়ী দু’তরফই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাজেরের দক্ষতায় মোটা অঙ্কের আর্থিক লাভ করে ইজরায়েল লেভিন সালোমনস’র সংস্থা House of Trade এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। বেনারস থেকে কলকাতায় নদীপথে রত্ন চালানের ঝুঁকির বিষয়ে গভর্নর জেনারেলকে জানিয়ে রক্ষীর জন্য আবেদন করেছিল প্রাজের। গভর্নর জানায় দু’লাখ টাকার মাল বহন করলে একজন নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হবে প্রাজেরের নৌকায়। ...

ডাউনলোড করুন

প্রকাশকাল: ২৫ ডিসেম্ববর, ২০২১

লিখন: অমিতাভ সেনগুপ্ত
অলংকরণ ও শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ

সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি

বিশেষ সহযোগিতা: সৌম্যদীপ

গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।

সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।

মুদ্রিত সংখ্যা
হরপ্পার যাত্রা শুরু ২০১৭-র অক্টোবর মাসে চতুর্মাসিক পত্রিকা হরপ্পা লিখন চিত্রণ-এর প্রকাশলগ্নে। মূলত সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে হরপ্পা আত্মপ্রকাশ করে বাংলার শিল্পসংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান রীতিনীতি পালাপার্বণ প্রভৃতি নানা বিষয়কে দু-মলাটের ভিতর নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে। দেখবেন চলুন...