Transparent Logo
Scroll down

halkhata

হালখাতা
১ বৈশাখ, ১৪২৭

বাংলা বছরের প্রথম দিনটা সব বাঙালির কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। সকাল থেকেই যেন উৎসবের শুরু। খাতা-পুজো করে নতুন বছরের হিসেবের সূচনা। কলেজ স্ট্রিটে বইপাড়ায় লেখক-সমাবেশ ঘটে বইয়ের দোকানগুলোয়। নতুন বইপ্রকাশ আর লেখকদের অল্পবিস্তর টাকা দেওয়ার একটা রেওয়াজ আছে। পয়লা বৈশাখে সূচনা ঘটেছে বহু সাময়িকপত্রেরও। করোনা বিধ্বস্ত লকডাউন-সময়ে পাঠকের কাছে আন্তর্জালে পত্রিকা পৌঁছে দিতে ১৪২৭ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ শুভ সূচনা হল হরপ্পা-র ই-পুস্তিকার। ...

কী আছে ভিতরে

বাংলার বছর শুরুর দিন, মানে পয়লা বৈশাখ। ব্যবসায়ীরা সকাল-সকাল হাজির হয় মন্দিরে লাল রঙের কাপড়ে-বাঁধানো হালখাতার পুজো করাতে। ওই দিন তাদের বছরভরের হিসেবপত্তর মিটিয়ে নিতে হবে খদ্দেরের সঙ্গে। পাওনাগণ্ডা মেটাতে খদ্দেররা হাজির হলে চলবে আদর-আপ্যায়ন, মিষ্টিমুখ, জমে উঠবে উৎসব—হিসেবকে ঘিরেই। একই রকমভাবে বইপাড়াতেও নববর্ষের মজলিশে লেখক-প্রকাশকদের আড্ডা জমে ওঠে, থাকে খাওয়াদাওয়া, আর লেখকদের হাতেও দেওয়া হয় কিছু পাওনা বা অগ্রিম অর্থ। আবার প্রকাশকদের কাগজ ব্যবসায়ীদের ও অন্যান্য পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করতে হয়। এছাড়াও বইপাড়ায় পয়লা বৈশাখের বিশেষ গুরুত্ব আছে, প্রত্যেক বছর এই দিনেই প্রকাশিত হয় অনেক নতুন বই। শোনা যায়, বিদ্যাসাগরমশাইয়ের বর্ণপরিচয়ও নাকি প্রকাশিত হয়েছিল পয়লা বৈশাখেই। তবে আগে শুধু বই নয় বৈশাখ মাসে আত্মপ্রকাশ করত বহু নতুন পত্রপত্রিকাও। যেমন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গদর্শন’ (১২৭৯), কৃষ্ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত  ‘সাহিত্য-রত্ন-ভাণ্ডার’ (১২৯৬), সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত ‘সাহিত্য’ (১২৯৭), নৃসিংহচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সাহিত্য-সংহিতা’ (১৩০৭ ) রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘প্রবাসী’ (১৩০৮), উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সম্পাদিত ‘সন্দেশ’ (পয়লা বৈশাখ ১৩২০), হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ সম্পাদিত ‘মাসিক বসুমতী’ (১৩২৯) প্রভৃতি। ‘যুগান্তর’ ইত্যাদি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হত পয়লা বৈশাখের বিশেষ পাতা। আজ এই করোনা-বিধ্বস্ত সময়ে বইপাড়ার এক তীব্র অচলাবস্থা চলছে। অতীতের পাশাপাশি বর্তমানের করুণ চিত্র তুলে ধরা হল ‘হালখাতা’ পুস্তিকাটিতে। ডাউনলোড করুন

প্রকাশকাল: ১ বৈশাখ ১৪২৭ (১৪ এপ্রিল, ২০২০)
প্রচ্ছদ: সৌম্যদীপ
শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ

সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি

গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।

সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।

মুদ্রিত সংখ্যা
হরপ্পার যাত্রা শুরু ২০১৭-র অক্টোবর মাসে চতুর্মাসিক পত্রিকা হরপ্পা লিখন চিত্রণ-এর প্রকাশলগ্নে। মূলত সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে হরপ্পা আত্মপ্রকাশ করে বাংলার শিল্পসংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান রীতিনীতি পালাপার্বণ প্রভৃতি নানা বিষয়কে দু-মলাটের ভিতর নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে। দেখবেন চলুন...