<Transparent Logo
Scroll down

head_corona

করোনায়িত বাণিজ্য...
২৮ মে, ২০২১

করোনার দিনগুলিতে আমাদের বদলাতে হয়েছে বহু কিছু—জীবনযাত্রা, অভ্যেস, উপার্জনের উপায়-পদ্ধতি ইত্যাদি। পালটেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের হালহকিকত ও বিজ্ঞপনের ধরন। বিজ্ঞাপন বহুভাবে ধরে রাখে সমাজ ও সময়ের বিবর্তনের ইতিহাস। করোনাকালের বাণিজ্যে সেই পরিবর্তনের সামান্য আভাস, ২০২০-র ১৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল অবধি প্রধান বাংলা সংবাদপত্রগুলিতে প্রকাশিত কিছু বিজ্ঞাপনের ছবি ও বয়ানসহ বিশ্লেষণে কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত তুলে ধরতে চেয়েছেন এই পুস্তিকায়। ...

কী আছে ভিতরে

২০২০-র ১৮ মার্চ কলকাতায় প্রথম কোভিড রোগীর খবর বেরয় কাগজে। সেইদিন থেকেই আমার বিজ্ঞাপনের দিনলিপি শুরু। এখনও চলছে। বছর ঘুরে গেল করোনার প্রকোপ কমার কোনো লক্ষণ তো নেইই, বরং নাকি এরপর আবার তৃতীয় ঢেউ আসবে। চারিদিকে কেবল মৃত্যু আর হাহাকার। এরই মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও সক্রিয় আছে। সব মিলিয়ে অদ্ভুত এক পরিস্থিতি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের বেকারি রেকর্ড হারে বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন রাজ্যে এখন লকডাউন চলছে। ১৬ মে পর্যন্ত দেশে বেকারি বেড়েছে ১৪.৫ শতাংশ। এই অতিমারির এক বছরে এটাই সর্বাধিক। গত এপ্রিল মাসেই কাজ হারিয়েছেন ৭৩.৩ লক্ষ শ্রমিক। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি তাদের সমীক্ষা রিপোর্টে এই তথ্য জানিয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ। গত বছর ছিল পরিযায়ী শ্রমিকের ঘরে ফেরার মিছিল। এবার দেখছি মৃত্যু মিছিল। কানে আসছে শুধু অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দ। অক্সিজেন নেই, ভ্যাকসিন নেই। আছে কেবল ফাঁকা আওয়াজ। অসহনীয় অবস্থা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আমার বিজ্ঞাপনের দিনলিপি চলেছে।
গত বছর এই মে মাসেই সৈকত আমার কাছে দিনলিপির কথা শুনে প্রকাশ করার জন্য চেয়েছিল। নানা কারণে গত বছর তা হয়নি। এবার যখন ও বলল দিনলিপির প্রথম একমাস বার করবে তখন ভালোই লাগল। আমি তো আর গোপন দিনলিপি লিখছি না। এক মাসেই একটা মস্ত ধারণা হবে পাঠকের। তাছাড়া সৈকতের লেআউট-ডিজাইনের উপর আমার অগাধ আস্থা। এই করোনাকালে বিজ্ঞাপনের দিনলিপি আশা করি নতুন কিছুর সন্ধান দিতে পারবে।
এই যে এখন একটা মাথা লিখে দিচ্ছি, এখন দেখছি অনেক জায়গাতেই করোনার পুজো হচ্ছে। কোথাও আবার করোনাবধ যজ্ঞ হচ্ছে। গতবারের দুর্গাপুজোয় আয়োজকদের অনুরোধে পাল মশাইরা করোনাসুর বানিয়েছেন। অনেক অনেক মানুষ গোরুর মূত্র পান করে থালা-ঘটি-বাটি বাজিয়ে চিৎকার করেছেন, “গো করোনা গো”। এবার আবার অনেক অনেক মানুষ গায়ে গোবর মেখে একই বয়ানে চিৎকার করছেন। রামদেববাবু অ্যালোপেথি চিকিৎসার বিরুদ্ধে বলে চলেছেন। যোগীর রাজ্যে কোভিড-কার্ফু অমান্য করে বাড়ির বাইরে যাওয়ার অপরাধে মহম্মদ ফয়জল নামে ১৭ বছরের এক কিশোরকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দুই কনস্টেবল ও এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। ওদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে করতে অশ্রু সংবরণ করতে পারছেন না। আমাদের রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের পর সিবিআইয়ের কাজকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে জমজমাট অবস্থা। এবং এই প্রথম বঙ্গবিধানসভা সিপিএম রহিত। আর একটা কথা এই যে, গতবছর এই রকম সময়, কলকাতার প্রথম করোনা রোগী, রাজ্য প্রশাসনের এক আমলার পুত্রকে নিয়ে সমাজ-গণমাধ্যমে খুব খুব খুব বিচার চলছিল। এবার সেখানে এসএসকেএম-এ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বৈশাখীদেবীর যাতায়াত নিয়ে তুমুল তরজা চলছে। ভালো। আর প্রতিবেশীর বাগ্মীতাও এখন করোনাজ্ঞানে আকণ্ঠ। আমার বিজ্ঞাপনের দিনলিপির সামান্য অংশের প্রকাশ এই প্রেক্ষাপটেই। তবে একমাসেই বছরভর কেটে যাবে।
গুগুলে সার্চ করলাম হোয়াট ইজ ভাইরাস? দেখাল কম্পিউটার ভাইরাস।
পুরো লাইফটা অনলাইন হয়ে গেল মাইরি!

 

ডাউনলোড করুন

প্রকাশকাল: ২৮ মে, ২০২১
লিখন: কৃষ্ণপ্রিয় দাশগুপ্ত
শিল্প-নির্দেশনা: সোমনাথ ঘোষ
সম্পাদক: সৈকত মুখার্জি
বিশেষ সহযোগিতা: সৌম্যদীপ

গ্রাহক হোন
হরপ্পার গ্রাহক হতে গেলে বছরে তিনটি সংখ্যার জন্য মোট পাঁচশো টাকা দিতে হয়। (ডাকমাশুল আলাদা)
যোগাযোগ করুন ই-মেলে অথবা ফোনে কথা বলুন।

সরাসরি প্রাপ্তিস্থান
• হরপ্পার পরিবেশক পশ্চিমবঙ্গে অক্ষর প্রকাশনী, ১৮এ টেমার লেন, কলকাতা-৯ ও বাংলাদেশে বাতিঘর।
• কলেজস্ট্রিটে পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, দেজ, দে বুকস্টোর, উল্টোডাঙায় সুনীলদার দোকান, রাসবিহারী মোড়ে কল্যাণদার দোকান, রিড বেঙ্গলি বুক স্টোর, শান্তিনিকেতনে রামকৃষ্ণর দোকানের মতো বহু স্টলে হরপ্পা নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে হরপ্পা বিক্রি হয়।
• পত্রিকা পেতে আপনি দপ্তরেও মেল করতে পারেন।

মুদ্রিত সংখ্যা
হরপ্পার যাত্রা শুরু ২০১৭-র অক্টোবর মাসে চতুর্মাসিক পত্রিকা হরপ্পা লিখন চিত্রণ-এর প্রকাশলগ্নে। মূলত সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে হরপ্পা আত্মপ্রকাশ করে বাংলার শিল্পসংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান রীতিনীতি পালাপার্বণ প্রভৃতি নানা বিষয়কে দু-মলাটের ভিতর নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে। দেখবেন চলুন...